ফেনীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে জুলাই ঐক্যের ব্যানারে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শেখ হাসিনার ফাঁসি ও আওয়ামী লীগের বিচারসহ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
মিছিলটি মুক্ত বাজার এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে জুলাই ঐক্যের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি স্থানীয় সাধারণ লোকজনও অংশ নেন।
সমাবেশে জুলাই যোদ্ধা তাহমিদুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের সংগ্রামের প্রতীক। এখানে আগুন দেওয়া ইতিহাস মুছে ফেলার অপচেষ্টা। ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে।’
মিছিলে অংশ নেওয়া আবু জাফর বলেন, ‘ফেনীর মানুষকে ভয় দেখাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়া হয়েছে। অগ্নিসংযোগকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়াকে আমরা পরিকল্পিত নাশকতা হিসেবে দেখছি। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছি আমরা।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে রবিবার ভোরে ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়া হয়। স্মৃতিস্তম্ভটির অবস্থান ফেনী মডেল থানা থেকে মাত্র দেড়শ গজ দূরে। এরই মধ্যে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মুখে মাস্ক পরা এক যুবক কেরোসিন ঢেলে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয়। তার পাশেই মাস্ক পরা আরও কয়েকজন যুবক দাঁড়িয়ে ছিল। এর মধ্যে একজন আগুন দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে। আগুন লাগার পরপরই দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে তারা।
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে ফেনীর ১১ জন শহীদ হন। এর মধ্যে গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার একদিন আগে ফেনীতে শহীদ হন সাত জন। এ ছাড়া বাকি চার জন ঢাকা ও চট্টগ্রামে আন্দোলনে যোগ দিয়ে শহীদ হয়েছেন। ফেনীতে শহীদ হওয়া সাত জন হলেন- কলেজশিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ, মো. মাহবুবুল হাসান, মো. সারোয়ার জাহান, ওয়াকিল আহমেদ, ছাইদুল ইসলাম, জাকির হোসেন এবং অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ সবুজ।



